১২ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত
ফিফা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, দুই ধরনের বলে খেলা হবে এবারের কাতার বিশ্বকাপ। এত দিন কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলা হয়েছে ‘আল রিহলা’ বলে। আজ সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ম্যাচের বলের নাম জানিয়ে দিলো ফিফা।
ফিফা এবারের বলটির নাম দিলো ‘আল হিল্ম’। আল হিল্ম আরবি শব্দ বাংলা অর্থ স্বপ্ন। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের শেষ দিকে এসে চার দল এখন স্বপ্ন দেখছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আর সেই স্বপ্নটা পূরণ করতে আল হিল্ম বল দিয়ে সেমিফাইনাল খেলবেন লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। ফাইনালও খেলা হবে এই বলে।
আল রিহলার মতো আল হিল্মও প্রযুক্তিনির্ভর। সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তির ফিচার হিলমেও থাকছে। অটোমেটেড অফসাইড নির্ভুলভাবে ধরতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারের বিশ্বকাপে তার সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। আগের ম্যাচগুলোতে খেলার জন্য বলের নামকরণ করা হয়েছিল আল রিহলা।
আল রিহলা অর্থ ‘সফর’। এবার সফর শেষে স্বপ্ন নিয়ে লড়বে চার দল। চার দল হচ্ছে: ক্রোয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, মরক্কো ও ফ্রান্স।
স্বপ্ন নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রেখেছিল ৩২টি দেশ। এখন লড়াই সীমিত ৪টি দলের মধ্যেই। আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স এবং মরক্কো।
‘আল-হিলম’ নামটি কাতারের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। গোধূলির সৌন্দর্য তুলে ধরবে আল-হিলম। ঠিক যেভাবে সন্ধে নামার আগে কাতারের লালচে আকাশ সোনালী বালির রঙে মেশে। মুগ্ধকর এক দৃশ্য। বিশ্বকাপও অন্তিম লগ্নে। ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে স্বপ্নপূরণের চূড়ান্ত ম্যাচ।
‘আল-হিলম’ বলের মধ্যে। ব্যবহার করা হয়েছে ওয়াটার বেসড রং। আল-হিলমের সোনালী রং মনে করাবে ফিফা বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি। বলের প্যানেলগুলোর ত্রিকোণ আকার ও উজ্জ্বল লাল রঙা আভা, কাতারের জাতীয় পতাকা ও স্থাপত্যের কথা বলবে।
আল হিলমেও ব্যবহার করা হয়েছে “কানেক্টেড বল” টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি এ বার বিশ্বকাপে অনেক সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে সাহায্য করেছে। ব্যবহার করা হয়েছে প্লেয়ার পজিশনিং ডেটা। ভিএআর রেফারিদের কাছে এই ডেটা চলে যায় নিজে থেকে। ফলে যে কোনও সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সেন্সর ছাড়াও বলটি তৈরি করা হয়েছে পলিইউরেথ্রিন দিয়ে। রয়েছে মোট ২০টি প্যানেল। আবার ভিতরে রয়েছে সিটিআর কোর। যা বাড়িয়েছে বলটির গতি ও বাতাসে কেটে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।
তথ্য সুত্র- গুগল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল।