০৬ মার্চ, ২০২৩
ছবি: মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী'র একাংশ।
ফেনী জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সুধী জনের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
রবিবার ৫ (মার্চ) বিকাল ৪টায় ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুলতানা নাসরিন কান্তার সঞ্চালনায় ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ- উল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক কাজী আরফান আশিক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্ম প্রণালী নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক মো. আজহার হোসেন।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় ফেনী জেলার পুলিশ সুপার জাকির হাসান, সিভিল সার্জন, শিহাব উদ্দিন রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহের হোসেন, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোক্তার হোসাইন, ফেনী আলীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাছান, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, কাজীরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ, কাজীরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার রুনা আক্তার, ফেনী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আয়নুল কবির শামীম, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সামাজিক সংগঠন 'সহায়' এর সভাপতি মঞ্জিলা আক্তার মিমি, দৈনিক ফেনী'র সম্পাদক আরিফ রিজভী, তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী সোহাগী, ফেনীর লালপুলে অবস্থিত বেদে পল্লীর আমির সর্দার ও ফেনী রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুনসুর-উল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি গর্বিত আমি ফেনী জেলার সন্তান।সারাদেশব্যপী মত বিনিময় সভার অংশ হিসেবে আমার জন্মস্থান ফেনীতে সাত নাম্বার জেলা শহর হিসেবে মতবিনিময় সভা করতে পেরে আমি আনন্দিত।জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ফেনীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি আছে। জেলা প্রশাসকসহ কমিটির গৃহীত পদক্ষেপ ও সুপারিশ সমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবেন বলে জানান। ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে ফেনীতে মানবাধিকার কমিশন কাজ করতে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফেনীতে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য একটা কবরস্থান, বেদে পল্লীর শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ও প্রতিবন্ধীদের জন্য থেরাপী সেন্টার নির্মাণে জেলা প্রশাসককে দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা, আমরা সবাই মিলে রাস্ট্রের জন্য কাজ করবো। জেলার পুলিশ ও জেলা প্রশাসক ও সুধীজন সবাই মিলে কাজ করবো, কেউ যদি এর বাইরে যান, আমি নিজেই তার বিপক্ষে যেতে বাধ্য হবো।
এছাড়াও ফেনী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্য বলেন, দেশের বিভিন্ন স্হানের ন্যায় ফেনীতে ও নামে বেনামী মানবাধিকার সংস্থা গড়ে ওঠা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মোটরসাইকেলের পিছনে মানবাধিকার কমিশনের স্টিকারযুক্ত সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়দানকারী ও জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার কথা বলে কাউকে প্রতারিত করে তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।