২৩ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর পরশুরামে বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক মেজবাহর লাশ গত ১১ দিনেও ফেরত দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। লাশ না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ছুটছেন স্বজনরা। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তার পরিবারের। শোকে মুহ্যমান, শয্যাশায়ী তার স্ত্রী। তাকিয়ে আছেন কাঁটাতারের সীমানার দিকে। বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, এখন পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের কোনো চিঠি পাননি তারা।
এদিকে বিএসএফের সঙ্গে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো ফেরত দেয়নি। তবে ভারতের সব আইনি পদক্ষেপ শেষে হয়তো লাশ ফেরত দেবে জানান, ফেনীস্থ-৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে জেলার পরশুরামের বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান কৃষক মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এর তিন দিন পর ভারত সীমান্তের একশ গজের মধ্যে কাঁটাতারের পাশে তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা মৌখিকভাবে পুলিশ ও বিজিবিকে ঘটনাটি জানান। ১১ দিনেও মেজবাহর লাশ না পেয়ে তার স্ত্রী সন্তানরা এখন নিরুপায়, আর্তনাদে দিন কাটছে তাদের।
তারা জানান, বিএসএফ জঘন্যভাবে হত্যা করেছে মেজবাহকে। তারা লাশ ফেরত চায়। আইন আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার সঠিক বিচার চায় তারা। পরিবার ও স্বজনের প্রশ্ন কি অপরাধ করেছে মেজবাহের? কেন এভাবে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে? কেন তার লাশ দিতে টালবাহানা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মেজবাহর বোন পারুল আক্তার বলেন, ‘মেজবাহর ছোট্ট ছোট্ট চার কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা হলেন, মর্জিনা আক্তার, তাজনেহার আক্তার মুক্তা, বিবি হাজেরা আক্তার রিক্তা ও জান্নাতুল নাঈম। তারা পিতার লাশের অপেক্ষায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা চায় যেকোনো মূল্যে তাদের পিতার লাশ।’
মেজবাহর স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘ছোট ছোট শিশুকন্যাদের নিয়ে তিনি খুবই কষ্টে আছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তার। তিনি যেকোনো মূল্যে স্বামীর মরদেহ ফেরত চান।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সাধারণ কৃষক। তিনি কোনো অন্যায় কাজ বা অবৈধ কাজের সঙ্গে কোনো দিন সম্পৃক্ত ছিলেন না। তার নিরপরাধ স্বামীকে বিএসএফ হত্যা করেছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। তিনি এর বিচার চান ও তার স্বামীর লাশ অল্প সময়ের মধ্যে ফেরত চান।’
Good news
Good