১১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: পরিত্যক্ত সোনাপুর -আলোকদিয়া সেতু।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়ন ও কাজিরবাগ ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে কচুয়া খালের উপর সেতুটি দীর্ঘ ৩০ বছর দাঁড়িয়ে আছে। সেতুটির সংস্করণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও উক্ত সেতুটি সংস্করণ বা পুনঃনির্মানের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি! সেতুটির উপরে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করলেও বড় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। পাশ্ববর্তী সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম সেতুটি। স্হানীয় জনগণের প্রাণের দাবী সেতুটির পুনঃনির্মান।
১৯৮৪ সালে ফেনীর প্রথম জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান কচুয়া খালের উপর আলোকদিয়া-সোনাপুর সংযোগ সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটির মাধ্যমে কালিদহ ও কাজিরবাগ ইউনিয়নে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। ৮ ফুট প্রস্হ ও ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ হয়; যার ফলে সেতুটির উওরাংশ হেলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯০-৯১ সালের বন্যায় সেতুটির পিলারের ওপর স্হাপিত গার্ডার কিছুটা সরে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দীর্ঘ ৩১ বছর পুনঃনির্মান না হওয়ার ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।
সেতুটি ভেঙে পড়লে দুর্ভোগের শিকার হবে সেতুর উপর চলাচলকারী স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ।
ফেনীর স্হানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি ফেনী সদর
উপজেলায় কচুয়া খালের উপর অবস্থিত সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রকল্প পরিচালক পরিদর্শন করেন।
২০০৯ সালে উক্ত সেতুটির উপর কালর্ভাট নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। উক্ত কালর্ভাট নির্মাণের জন্য ৩৮-৪০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, ফেনী পৌরসভা কচুয়া খালে যথারীতি বর্জ্য ফেলার ফলে উক্ত খালের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। কচুয়া খালের উপর সংযোগ সেতুটি নির্মাণের প্রধান অন্তরায় বিষাক্ত পানির
স্রোত। সেতুর দুই পাশে বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে পানি আটকানোর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে। এছাড়াও পশ্চিম দিকের পানি মোটা পাইপের মাধ্যমে বাঁধের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করার ব্যবস্হা করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। গতানুগতিক কালর্ভাটের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কাজটি করা সম্ভব নয়।
কচুয়া খালের উপর সংযোগ সেতুটির পুনঃনির্মাণ প্রসঙ্গে ফেনীর স্হানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আলী বলেন, সেতুটির উপর কালর্ভাট নির্মাণের জন্য একাধিকবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, কিন্তু পানির স্রোত বেশির কারণে ঠিকাদাররা কালর্ভাট নির্মাণ করতে পারেনি। কচুয়া খালের উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করে উক্ত খালের উপর সংযোগ সেতুটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে।