৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ / সারাদেশ / জাতীয়

ফেনীর পরশুরামে বিএসএফ ১৬ দিন পর ফেরত দিলো মেজবাহর মরদেহ

৩০ নভেম্বর, ২০২২

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: মেজবাহর মরদেহ হস্তান্তরের সময়।

ফেনীর পরশুরামে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ ১৬ দিন পর ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিলোনিয়া ইমিগ্রেশনে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় 
কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী পুলিশ ও  বিজিবির কাছে মেজবাহর মরদেহটি হস্তান্তর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম, ভারতের এিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক পরিতোষ ঘোষ, ভারতীয় বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডিং অফিসার সত্যপাল সিং, বিলোনিয়া মজুমদারহাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুজ্জামান, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল প্রমুখ।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে পরশুরামের বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান কৃষক মেজবাহ। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। এর তিনদিন পর ভারত সীমান্তের একশ গজের মধ্যে কাঁটাতারের পাশে তার লাশ দেখতে পায় স্হানীয়রা। পরে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা লাশ নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন তালবাহানা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ১৬ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে মেজবাহর মরদেহ ফেরত দেয়া হয়।  নিহত মেজবাহর সহধর্মিণীর বোন পারুল আক্তার বলেন, বিনা দোষে তার বোনের স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি কৃষিকাজ করে চলতো। তিনি ক্ষতিপূরন দাবি করেন। মেজবাহ ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাকে হারিয়ে তাঁর সহধর্মিণী ও চার কন্যা সন্তান আজ নিঃস্ব, অসহায় ও সর্বশান্ত। পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল বলেন, মেজবাহ একজন কৃষক। এভাবে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া কিছুতে মেনে নেয়া যায় না। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র। ভারতের কাছে আমরা এমন কিছু আশা করি না। বিএসএফ তাকে ধান কাটা অবস্থায় ধরে নিয়ে গেছে। পরে তাকে পিটেয়ে মেরে ফেলেছে।  
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক পরিতোষ ঘোষ বলেন, আমরা যখন লাশটা পাই তখন তার মাথাতে ক্ষত ছিল। তদন্ত চলবে, কারও বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ উঠে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিলোনিয়া থানা পুলিশ ১৭ তারিখ যখন লাশটি নিয়ে যান 
তখন মেজবাহর স্বজনদের মাধ্যমে লাশটি মেজবাহর বলে শনাক্ত করেন। তখন তারা আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মৃতদেহটি ভারতে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। যেহেতু অনেক সময় চলে গেছে তাই মৃতদেহটি অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে।

Related Article