১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: পাতলা কম্বল মুড়িয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে ছিন্নমূল মানুষদের ঘুমানোর চিত্র।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এই দেশে এখন আর ষড়ঋতু নেই। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে শীত, গরম ও বর্ষা-এ তিন ঋতুর প্রভাব। প্রচন্ড গরম, অতিমাত্রায় শীত ও অতিবৃষ্টির প্রভাব বেশি।
সারাদেশের ন্যায় ফেনীতে সপ্তাহখানেক ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ও হিমেল হাওয়ার কারণে কনকনে ঠান্ডায় দিশেহারা শহরের অসহায় ও ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে দরিদ্র তথা শ্রমজীবী মানুষরা।
বিকাল হতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরা স্টেশন চত্ত্বর। স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। এসব ছিন্নমূল মানুষরা শীতবস্ত্রের অভাবজনিত কারণে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও অনাহারে ও অর্ধহারে দিনযাপনসহ হাঁড়কাপানো শীতে জুবুথুবু হয়ে যাচ্ছে। উষ্ণতার ছোঁয়ায় শহরের মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষ অপেক্ষায় থাকে কখন হবে ভোর আর দেখা যাবে সূর্য।
রেলওয়ে স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষেরা রাতে অবর্ণীয় কষ্টে শীতের বিরুদ্ধে রাত্রী যাপনের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাইতো কেউ কেউ হালকা বিছানা পেতে, কেউবা নিচে পত্রিকা বিছিয়ে, আর কেউ বিছানা ছাড়া নিচে শুয়ে আছেন। এইসব শ্রমজীবী, নিতান্ত অসহায়রা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, টিকিট কাউন্টারের সামনে ও এর আশেপাশে হালকা কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে আছেন।
সোমবার রাত ১ টায় ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে ৬০ বছর বয়সী ছয় সন্তানের জনক আক্কাস মিয়া'র সাথে কথা হলো। তাঁর গ্রামের বাড়ী শরীয়তপুরে। দিনের বেলায় ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন। রাতে শুয়ে থাকেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। শীতের রাতে রাত্রীযাপন অত্যন্ত কষ্টের, পুরাতন একটা পাতলা কম্বল মুড়িয়ে ব্যর্থ চেষ্টা করেন আক্কাস মিয়া।
ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে ৬৫ বছর বয়সী হনুফার সাথে কথা হলো। তাঁর গ্রামের বাড়ী নীলফামারীতে। তিনি তাঁর আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, " ছৈলপৈল আছে, ওমরা করি ওমরা খায়। হামাক কাইও দেখে না, সারাদিন মানুষের বাস-বাড়ীতে ভিক করে খাই, আইতোত খুব ঠান্ডা লাগে বাহে।
Good news
Good