১৬ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: সংগ্রহীত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় দোকানে পোল্ট্রি ডিম বিক্রিতে দিতে হচ্ছে খাঁজনা। অভিযোগ উঠেছে এরা খাজনার নাম করে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দিলে মারধর পর্যন্ত করা হয়। খোজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালীর সদর উপজেলাসহ কোথাও দোকানে বিক্রি করা পোল্ট্রি ডিমের জন্য কোন খাজনা দিতে হয় না। অথচ কলাপাড়া-কুয়াকাটায় নিয়মিত ডিম বিক্রিতে দিতে হচ্ছে খাজনা।
ডিম বিক্রেতা শওকত হোসেন জানান, গত বছর ডিম বিক্রির জন্য বাজারের ইজারাদারকে দুই লাখ টাকা খাজনা বাবদ দিতে হয়েছে। এ বছর চাওয়া হচ্ছে ডিম প্রতি এক টাকা। কলাপাড়া পৌরসভায় বছরে অন্তত ৮০ লাখ ডিম বিক্রি হয় এবং কুয়াকাটায় বিক্রি হয় প্রায় ১৫ লাখ ডিম। প্রতি ডিম বাবদ ১ টাকা করে দিলে ৮০-৯০ লাখ টাকা চাদা দিতে হয় তাদের।
কুয়াকাটার ডিম বিক্রেতা জাকির হোসেন জানান, তারা প্রতি বছর ডিম প্রতি পৌরসভার খাজনা দিয়েছে। তিনি দাবি করেন খাজনা না থাকলে সবার জন্য ভালো হয়। এতে ক্রেতা সাধারণকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষদের কাছে ডিম একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা ডিম ছাড়া অচল। আর সেখানে অন্য কোন এলাকায় ডিমের বিক্রিতে কোন কর কিংবা খাজনার বিধান নেই। কিন্তু কলাপাড়া এবং কুয়াকাটা পৌরসভায় চলছে খাজনার নামে চাঁদাবাজি।
কিছুদিন আগে ডিম প্রতি এক টাকা খাজনা চাওয়ায় কলাপাড়া পৌরশহরের বিক্রেতারা দুই দিন ডিম বিক্রি বন্ধ রাখেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেনের আশ্বাসে ফের দোকান খুলেছেন ডিম বিক্রেতারা।
কলাপাড়া পৌর বাজারের ইজারাদার সালাম সরদার জানান, ডিম বিক্রিতে এ বছর খাজনা আদায় নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। শীঘ্রই সমাধান করা হবে।
কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ডিমের জন্য খাজনা আদায় অন্যত্র বন্ধ থাকলে আমরাও বাদ করে দেব।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ডিম বিক্রিতে কোন ধরনের খাঁজনা আদায় করা যাবে না।
Good news
Good