০৯ Jun, ২০২৩
ছবি: ন্যায়কুঞ্জের ভিক্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন
হাইকোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, বিচার প্রার্থীরা যখন আদালতে আসেন তখন তারা বসার কিংবা ওয়াশরুমে যাওয়ার জায়গা পান না। আইনজীবী সমিতিতে গেলে আনজীবী সমিতি মনে করে বাইরের লোক কেন আমাদের এখানে আসবে। সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধান বিচারপতি বিষয়গুলো অনুভব করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিটি আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ নিমানের প্রস্তাব তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাবটি করে সাদরে গ্রহন করে অনুমোদন করেছেন। সারাদেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে ন্যাককুঞ্জ নির্মাণ করা হবে। যে সকল জেলা বড় ১০০০ স্কয়ার ফিট ও যে সকল জেলা ছোট সে সকল জেলায় ৮০০ স্কয়ার ফিটের ন্যাকুঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর আদালত চত্বরে আগত বিচার প্রার্থীদের নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, যাদের নিয়ে আমাদের এই আদালত প্রাঙ্গণ তাদের নিয়ে আমাদের কাজ। অথচ তাদের সুবিধা নিয়ে আমরা কখনো চিন্তা করি নাই। এক সময় ছিল আদালত গুলোতে বড় বড় বটগাছ ছিল। সেই গাছগুলো নিচে প্রার্থীরা বিশ্রাম নিতেন। কিন্তু বর্তমানে বটগাছ নেই। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ন্যায়কুঞ্জ নিমান কাজ শেষ হবে। তখন ন্যায়কুঞ্জের সুফল বিচারপ্রাথীরা পাবেন। বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ যাবিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিচুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তহিদুল হক সরকার, দিনাজপুর গণপুত অধিদপ্তরের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামনু।
এরপর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আদালত চত্বরে একটি বৃক্ষ রোপর করেন। পরে দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন। সকাল ১০টায় চীফ জুডিশিয়াল আদালতের হল রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
দিনাজপুর গণপুর্ত অধিদপ্তরের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দিনাজপুর আদালত চত্বরে ১ হাজার স্কয়ার ফুটের ন্যায়কুঞ্জটি নিমানে ব্যায় হবে ৫১ লাখ টাকা। ন্যায়কুঞ্জতে বিচারপ্রাথীদের বিশ্রাম, ওয়াশরুম, বেস্টনফিডিং কনার ও একটি খাবারের দোকান থাকবে।
Good news
Good