৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / বিশেষ সংবাদ

ধুনটে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে

১৬ জানুয়ারী, ২০২৪

মুঞ্জরুল হক,
ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

ছবি: ১০৩ বছরেও ভাগ্য খুলেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তৎকালিন সময়ে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব নামদার খান নামের একজন শিক্ষানুরাগী ১৯২১ সালে জমি দানের মধ্যদিয়ে ছনের ঘর তৈরী করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

দীর্ঘ ৫২ বছর পর ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে টিন সেটের ৬ টি ক্লাসরুম নিয়ে পথচলা শুরু করে রুদ্রবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান হলেও ভাগ্য খোলেনি ওই প্রতিষ্ঠানের।

৩৪ শতাংশ জায়গার উপর বিদ্যালয়টি দাঁড়িয়ে আছে শোচনীয় ভাবে। প্রতিষ্ঠানের উপরের টিনের চাল ছিদ্র হয়েছে অনেক আগেই। সামান্য বৃষ্টিতে ক্লাসরুমে পানি পড়ে। ঘুণে ধরেছে ঘরের তীরে। যেকোন সময় চাল বা তীর ভেঙ্গে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

২০০৫-৬ ইং অর্থবছরে তৎকালিন বিএনপির শাসনামলে ছাদ বিশিষ্ট একটি আনুভূমিক সম্প্রসারণ ভবন নির্মিত হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ধুনট এর বাস্তবায়নে নির্মিত ব্যয় হয়েছিল ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৭৫ টাকা।

প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৭জন শিক্ষক রয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ ৬জন মহিলা ও ১জন পুরুষ। বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনীতে ২১ জন, চতুর্থ শ্রেনীতে ১৪ জন, তৃতীয় শ্রেনীতে ১৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ২২ জন, প্রথম শ্রেনীতে ৩২ জন ও শিশু শ্রেনীতে ৪০জন সহ মোট ১৪৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বসার ব্রেঞ্চ গুলোও খুব জরাজীর্ণ। ২টি আধাপাকা শৌচাগার যা শিক্ষক শিক্ষার্থী সবাই ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নাজমা সুলতানা জানান, শতবর্ষ তথা ১০৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রুদ্রবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর গুলো অনেক টাই ঝুকিপূর্ণ।

বর্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পড়াতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। টিনের চাল বিশিষ্ট ঘরগুলো যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিশেষ করে ঝড়ের মধ্যে বিদ্যালয় নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত থাকি। প্রতিষ্ঠানের সহ সভাপতি হাবিবুল্লাহ মেজবাহ বাবু বলেন, ১০৩ বছরের পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান। অনেক ভাবে চেষ্টা করার পরেও একটা নতুন ভবন পেলাম না। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরেই চলছে পাঠদান।

সরকার যদি নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয় তাহলে পাঠদান ও শিক্ষার্থী সবই নিরাপদ হবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মানের জন্য অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বছর ডিও লেটারে ৮ নং সিরিয়ালে রুদ্রবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আমি অবগত নই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, এ সংক্রান্ত উপজেলা শিক্ষা অফিস কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কিনা জানিনা। তবে বিষয়টি আমি অবগত নই

Related Article