০১ মার্চ, ২০২৫
ছবি: কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারকরা
দেশে বিচারকের তুলনায় আদালতে মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের আদালত গুলোতে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে। আদালতগুলো মামালার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থায় আদালত গুলোতে মামলার অসহনীয় জট কমাতে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মেডিয়েশনের উপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এতে নিয়মিত আদালতের সময় লাঘব হবে এবং বিচারপ্রার্থীরা ন্যুনতম সময়ে, স্বল্প খরচে সর্বোচ্চ সেবা পাবে ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর সহায়তায় কক্সবাজার শহরের অভিজাত একটি হোটেলে আয়োজিত "Basic Mediation Training for Legal Professionals in Cox'sbazar" শীর্ষক ওয়াকর্শপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ একথা বলেন।
Development of Mediation and Civil Litigation Practices for Enhancement of Access to Justice Project এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব রুহুল আমিন বলেন, জাইকা'র সহায়তায় আইন ও বিচার বিভাগের চলমান ৩ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প দেশের আদালত গুলোতে মামলার আধিক্য কমাতে অনেক সহায়ক হবে। প্রকল্পটি শুধুমাত্র নরসিংদী ও কুমিল্লা জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ শুরু করলেও কক্সবাজারের গুরুত্ব বিবেচনায় এটি কক্সবাজারেও এখন কাজ করছে। যার জন্য কক্সবাজারের বিচারপ্রার্থী, বিচারক, বিচার ও আদালত সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবেন।
দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপে রিসোর্সপারসন হিসাবে মেডিয়েশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেকচার দেন Development of Mediation and Civil Litigation Practices for Enhancement of Access to Justice Project এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমিন, জাইকা প্রকল্পের চীফ এডভাইজার জাপানি নাগরিক Mr. Takuro Fujioka.
ওয়ার্কশপে কক্সবাজার বিচার বিভাগের ১৫ জন বিচারক যথাক্রমে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: রবিউল আলম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মামুনর রশিদ,
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ আমিরুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব দে (যুগ্ম জেলা জজ হিসাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তী, সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য,
সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সাজ্জাতুন নেছা লিপি, সিনিয়র সহকারী জজ সায়মা আফরীন হীমা, সহকারী জজ মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন, সহকারী জজ মো: রুহুল আমিন ও সহকারী জজ মো: ওমর ফারুক।
ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারী ১৫ জন আইনজীবী হলেন-জিপি অ্যাডভোকেট শামশুল হুদা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট মীর মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু, অ্যাডভোকেট মাফরুহা ইয়াসমিন,
অ্যাডভোকেট রাবেয়া সুলতানা, অ্যাডভোকেট সলিমুল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট ফজলুল কবির চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খালেদুল কবির, অ্যাডভোকেট জাবেদুল আনোয়ার, অ্যাডভোকেট সাজিদ আবেদীন ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মীর হারুনুল এরশাদ।
ওয়ার্কশপে মেডিয়েশন, এডিআর সহ আরো বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মামলার জট কমিয়ে নিয়মিত আদালতের উপর মামলার জট কমানোর সফল দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বাংলাদেশও অনুরূপ পদ্ধতি সমুহ আরো অধিকতর চালু করার জন্য আহবান জানানো হয়।
ওয়ার্কশপটি সার্বিক ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে ছিলেন, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুব্রত ঘোষ শুভ এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের Representative Mr. Kajno Kunahasi ও জাইকা প্রকল্পের এক্সপার্ট Fuki Fuziwana
Good news
Good