৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
বিশেষ সংবাদ / সারাদেশ

দেড়যুগ পর লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অভিমানী বুলবুল

২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুলবুল।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর আতাউর রহমান বুলবুল (৫০) যাচ্ছেন জয়পুর হাটের নিজ বাড়িতে। তবে জীবিত নয় যাবেন লাশ হয়ে।

বুলবুল দীর্ঘদিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে ২৬ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাতে মারা যান। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর তত্বাবধানে চিকিৎসাকালীন ও মারা যাওয়ার পর বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে পরিচয় মেলে তার।

২০০৬ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে জয়পুর থেকে ফেনীতে আসার পর থেকে বুলবুলের নাম পরিচয় না মিললেও মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরেই পরিচয় মিলেছে অভাগার।


জানা যায়, প্রায় দেড়যুগ ধরে ফেনী শহরের অলিতে-গলিতে, রাস্তায়-সরকারী দফতরে বস্তা পরে চলাফেরা করা একজন মানুষ ছিলেন বুলবুল। খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনী বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

দীর্ঘ ১৮ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাস স্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পদচারণা।


ফেনীর সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংগঠন সহায়’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দুলাল তালুকদার বলেন, গত সপ্তাহে বুলবুল অসুস্থ হলে সহায়ে'র তত্বাবধানে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। মানসিক ভারসাম্যহীন এ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ফেনী শহরে ঘোরাঘুরি করলেও কেউ তার সন্ধান দিতে পারেনি।

২৬ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার)
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে আমরা তার লাশ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ি। পরে আমাদের সহায়ের সদস্যসহ অন্যান্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলবুলের ছবি দিয়ে পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট দিলে তার পরিচয় মেলে। তার নাম আতাউর রহমান বুলবুল। তিনি জয়পুর হাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে।


বুলবুলের সহদোর রেজাউল করিম রিপন বলেন, আমার ভাই বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে আমার বাবা মাস্টার আবদুস সাত্তারের মৃত্যুর পর হঠাৎ আমার ভাই বুলবুল নিখোঁজ হয়।

প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর পর আমরা বুলবুল ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিন্তু তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরা-খবর আমরা আর পাইনি।


শুক্রবার ফেসবুকে ছবি দেখে আমাদের এক আত্মীয় বুলবুলের মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানায়। আমার ছোটভাই ও বড়াইল ইউপি সদস্য মশিউর রহমান লেবু ইতোমধ্যে লাশ আনতে ফেনীর পথে রয়েছেন। তার লাশ ফেনী থেকে জয়পুরে এনে দাফন করা হবে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good