৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির সুস্থতায়

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

জুয়েল রানা,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: ডা. শেখ মইনুল খোকন

বাংলাদেশে ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। আর কিডনি অকেজো রোগীদের মধ্যে মাত্র ২০-২২ শতাংশ চিকিৎসা তথা ডায়ালাইসিস কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারে, আজ থেকে মাত্র ৫ বছর আগেও যেটি ছিল ১০-১২ শতাংশ।

এই বৃহৎসংখ্যক রোগীর কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় ৪৪ শতাংশের কিডনি রোগ হয়। কিডনি আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বিভিন্ন মাত্রার প্রোটিন বের হয়ে যায় এবং সেটি প্রতিরোধ না করলে একসময় কিডনি বিকল হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস থেকে কিডনি রোগ হচ্ছে কি না, সেটি জানার জন্য প্রতি তিন মাস পরপর প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন পরীক্ষা করা উচিত। মাইক্রো অ্যালবুমিনের আধিক্য দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেলে খুব সহজেই প্রাথমিক কিডনি রোগের চিকিৎসা এবং কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা যায়।

তবে হ্যাঁ, অনেক সময় ডায়াবেটিস আছে, সেটি না জানার কারণে কিংবা যথাযথ চিকিৎসা না নেয়ার কারণে কিডনি বিকল হওয়া শুরু হয়। তখন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- শরীর ফোলা, ক্ষুধামান্দ্য, দুর্বলতা, রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি গ্রুপের ওষুধে ভালো ফল পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের হার অন্যদের তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং বেশি করে পানি পান করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। শর্করাজাতীয় খাবার নিয়ম মেপে খেতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীর যদি কিডনি রোগ দেখা দেয়, তাহলে আমিষের পরিমাণও কমিয়ে দিতে হয়।

তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহে ন্যূনতম ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। ওজনাধিক্য কমালে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

লেখক: রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ, কিডনি ফাউন্ডেশন, ঢাকা

Related Article