১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, 
ছবি: ক্রমাগত দখল হয়ে যাওয়া বোকা নদী এবং অবৈধ ভবনসমূহ।
ছাতকের জাউয়াবাজারে বোকা নদী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে একটি মহল। দীর্ঘদিন ধরে ওই মহলটি নদীর পাড়ের সরকারি ভূমি দখলে নিয়ে নদী ভরাট করেই কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নদী ভরাট করে ওই জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে অনেকেই বসবাস করছেন। জাউয়াবাজারের কুমিল্লা বস্তি থেকে শুরু করে বোকা নদীর মধ্যস্থান পর্যন্ত দখল করে বাসা-বাড়ি, দোকান পাঠ নির্মাণ করা হয়েছে গরু হাটার পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত। প্রভাবশালীরাই নদী ভরাট করে দোকানসহ পাঠ-বহুতল ভবণ নির্মাণ, ব্যবসা ও দোকান ভাড়া দিচ্ছেন। নদী ভরাটের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও নদীটি আকারে অনেক ছোট হয়ে গেছে।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে কয়েকটি বাসা বাড়ির মালিক তাদের বাড়ির সামনে দোকান তৈরী করে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন আর নদীর দিকে বাড়ি বৃদ্ধি করেই যাচ্ছেন। নদী এখানে অনেকাংশে অতি ছোট হয়ে গেছে। তারা নদীর মধ্যস্থানেই বিশাল আকারের গাইড ওয়াল করেছেন।
বোকা নদীর পাড়সহ নদী দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিলাস বহুল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান "রিভার ভিউ কনভেনশন সেন্টার"।ওই রিভার ভিউ কনভেনশন সেন্টারের পিছনে ছিলো একটি সরকারি ঘাট। সেই ঘাটও আজ দখলকারীদের আগ্রাসনে প্রায় বিলুপ্তির পথে। জনস্বার্থে নির্মিত সরকারি এ পাকা ঘাট গিলে খাচ্ছে রিভার ভিউ। ঘাটের অস্থিত্ব এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এদিকে গরু হাটার পশ্চিম সীমানায় আরেকটি সরকারি ঘাট দখল করে ঘাটের উপর এবং নদী দখল করে নদীর উপর একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করে একটি মহল দোকান ঘর ভাড়া দিচ্ছে।
জাউয়াবাজারে এসব দখলবাজদের উচ্ছেদ করতে এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জনস্বার্থে নদী রক্ষা, সরকারি জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার সুশীল সমাজ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
