০২ মার্চ, ২০২৩
ছবি: নিহত সাইফুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। বুধবার ১মার্চ সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সুরমা সেতুর গোলচত্বর এলাকায় শহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন, সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর পুত্র। রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ অন্যান্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গোলচত্বর এলাকায় যুবক-যুবতি টিকটক ভিডিও করার সময় তাদের বাঁধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক ও আহমদ আলীর ছেলে মান্নাসহ তাদের সহযোগিরা। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মামুনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ নিয়ে প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ভাঙ্গা ইট-পাথর, কাঁচের বোতল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়।
ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুর্হুর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Good news
Good