১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত ছবি।
চীনে আগামী বছর ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ শঙ্কা জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রয়টার্স শনিবার জানায়, তড়িঘড়ি করে চীন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় ২০২৩ সালে রোগীর সংখ্যা উচ্চহারে বাড়তে পারে এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। আইএইচএমই'র পর্যালোচনা অনুযায়ী আগামী পয়লা এপ্রিলের মধ্যে চীনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা চূড়ায় পৌঁছাবে। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও সে সময় ৩ লাখ ২২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। ততদিনে চীনের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ করোনায় সংক্রমিত হতে পারে। আইএইচএমইর পরিচালক ক্রিস্টোফার মুর এই পূর্বানুমানভিত্তিক গবেষণার তথ্য জানিয়েছেন।
আইএইচএমই তাদের এ গবেষণায় চীন সরকারের কাছ থেকে টিকাদান হার-সংক্রান্ত তথ্য নিয়েছে এবং সংক্রমণের হার বাড়লে বিভিন্ন প্রদেশে কেমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে। এ ছাড়া তড়িঘড়ি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় চীনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ কোভিডে আক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসেই সংক্রমিতের সংখ্যা চূড়ায় পৌঁছাতে পারে। বেশি আক্রান্ত হতে পারে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর লোকজন। একই সঙ্গে চীনে কোভিড ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের সংখ্যা ব্যাপক হওয়ায়, তুলনামূলক কম কার্যকর টিকা ব্যবহার, ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে টিকাদানের হার কম হওয়ায় অনেকে কোভিডে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্রিস্টোফার মুর বলেন, কেউ ভাবেনি চীন এত লম্বা সময় ধরে ‘জিরো কোভিড’ নীতি কঠোরভাবে মেনে চলবে। চীনের এ নীতি হয়তো করোনাভাইরাসের আগের ধরনগুলোকে সীমানার বাইরে রাখতে কার্যকর ছিল, কিন্তু অতি সংক্রমণশীল অমিক্রনের কারণে ওই নীতি বজায় রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল।
সিয়াটলে অবস্থিত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএমই সাধারণত বিভিন্ন দেশের সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে। তারা এবার হংকংয়ে সাম্প্রতিক অমিক্রন প্রাদুর্ভাবের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এ বিষয়ে মুর আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে উহানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর পর থেকে চীন তাদের দেশে কোভিডে মৃত্যুর তথ্য খুব একটা দেয়নি। যে কারণে আমরা হংকংয়ের দিকে তাকিয়ে সংক্রমণ মৃত্যুর হার কেমন হতে পারে তার একটা ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেছি।’