১৭ Jul, ২০২৪
ছবি: কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তির মোড় গণপদযাত্রা
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তির মোড় স্থানে গণপদযাত্রা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অনেকটা আকস্মিকভাবে।
কোটা বিরোধীদের অবরোধের কারণে রাজধানী দেশের বড় শহরগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সংঘাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কোনো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একদিনে এতো জনের মৃত্যু ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি।
২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের পর থেকে গত প্রায় ছয় বছরে এতো বড় আকারের বিক্ষোভের মুখোমুখি সরকার আর হয়নি। সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটা বাতিল করে কেবল ‘অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ’ রেখে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী– এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। তবে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে চালু হওয়া প্রথম কোটা ব্যবস্থায় এই পরিমাণ ছিল আরও বেশি। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। চলমান এই আন্দোলন মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেটের সভায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কখন শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে, সেই সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।