২৬ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: মুছি সম্প্রদায়ের ছেলে বিজয় জুতা পালিশের কাজে ব্যস্ত
পড়ালেখা করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। সেই চিন্তাকে সামনে রেখেই সমাজ আলোকিত হয়ে আসছে শিক্ষার আলোয়। তেমনি কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করলে মানুষ অসাধ্য কেও সাধ্য করতে পারে। তাইতো কবির ভাষায় পারিব না কথাটি বলিও না আর একবার না পারিলে দেখো শতবার। সেটিই করে দেখিয়ে দেবার মানসে লেখাপড়ায় মনোনিবেস করেছে মুছি সম্প্রদায়ের বিজয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে প্রতিদিন বাবার কাজে সহযোগিতা করে আসছে বিজয়। নিয়মিত কাজে আসায় বোঝার উপায় ছিল না যে বিজয় একজন ছাত্র। মজিদা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ এর ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। মুচি সম্প্রদায়ের ছেলেরা তাদের বাপ দাদার পেশাকেই মূলত জীবিকার প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু বিজয় তার ব্যতিক্রম। বিজয় এই জুতা পালিশের দোকানেই বসে এক পসরা স্বপ্ন সাজিয়েছে। তাই সে হতে চায় একজন ব্যাংকার। প্রতিদিন যেহেতু সে তার বাবার কাজে সহযোগিতা করতে আসে তাহলে পড়ালেখাই বা করে কিভাবে জানতে চাইলে বিজয় জানায়, সপ্তাহে দু একদিন সে কলেজে যায়।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ভেলাকোপা গ্রামের রবিদাস এর পুত্র বিজয়। দিনের বেশিরভাগ সময়ে অন্যের জুতা বালিশ করে তার সময় কাটে এখানে। পড়ালেখা করতে সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে বিজয় বলে একটু তো সমস্যা হয়ই। তারপরও বাবা যখন দোকানে আসে আমি তখন বাসায় চলে যাই সন্ধ্যার পর আমি প্রতিদিন নিয়মিত পড়ালেখা করি। সমাজের অবহেলিত মুচি সম্প্রদায় এর ছেলে হয়েও পিছুটান তাকে আটকাতে পারে নি। সমাজে ভালোভাবে বাঁচতে সবারই একটি স্বপ্ন থাকে। যে স্বপ্ন অন্তরে লালন করেই মানুষ বেঁচে থাকে। যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তাহলে যত বাধাই থাক না কেন একদিন নিশ্চয়ই সে গন্তব্যে পৌঁছা অসম্ভব নয়। সে রকম দৃঢ় মনোবল ও প্রত্যয় নিয়ে সমাজে অনেকই তা করে দেখিয়েছে। অবহেলিত সম্প্রদায় কিংবা অনেক অস্বচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ব্যক্তির সংখ্যাও এ সমাজে কম নয়। বিজয় তাদেরই একজন হতে চায়। হতে চায় সমাজের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত।
Good news
Good