০৮ মে, ২০২৩
আবদুল ওহাব বাবুল, 
ছবি: প্রতিকী
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চরপার্বতী ইউনিয়নে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মুঠোফোনে নগ্ন ভিডিও এবং নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগে মোঃ সোহেল (৩০) নামে এক যুবকের নামে মামলা।
শনিবার ৬মে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ৪মে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবক মো.সোহেল (৩০)। সে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৮নাম্বার ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন সর্দারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ৪লক্ষ টাকা দেন মোহরে প্রবাসী স্বামীর সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত যুবক ভিকটিমের প্রবাসী স্বামীর বন্ধু। ভিকটিমের স্বামী নিজে প্রবাসে থাকায় সে তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়িতে প্রয়োজনীয় বাজার সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয় করে দিত, এ সুযোগে বন্ধুর স্ত্রীর প্রতি তার লোলুভ দৃষ্টি তৈরি হয়।
গত বৃহস্পতিবার ৪মে রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা সোহেল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়, পরিত্যক্ত বাড়িতে ভিকটিমকে আটক করে কয়েক দপা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মুঠোফোনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে ভুক্তভোগী পরিবার ভিকটিমকে খুঁজে না পেয়ে, অপহরণকারীর পরিবার প্রতি ভিকটিমকে উদ্ধারের চাপ সৃষ্টি করে, এবং গতকাল ৬ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণকারী ভিকটিমকে বসুরহাট বাসস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, এর আগেও সোহেল ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। সোহেল ভিকটিমকে হুমকি দেয় তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা এবং শারীরিক সম্পর্ক বজায় না রাখলে মোবাইলে থাকা নগ্ন ছবিও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে। একই সাথে ভিকটিমকে খারাপ কাজে বাধ্য করতে নগ্ন ছবিও ভিডিও তার মুঠোফোনে সংরক্ষণে রাখে। ব্ল্যাকমেইল করতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মুঠোফোনে তার নগ্ন ভিডিও ছবি প্রেরণ করে সোহেল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
