১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: সিজিপিএ ৪ আউট অফ ৪ নিয়ে স্বর্ণপদক প্রদান
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বোচ্চ মেধাতালিকায় থেকে সিজিপিএ ৪ আউট অফ ৪ নিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে। বর্তমানে এ বিশ্ব বিদ্যালয়েই লেকচার হিসেবে যোগদান করে কর্মরত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের উওর শোলাগাড়ীর মৃত শাহজালালের ছেলে আরেফিন সিমন। তার নানার বাসা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার প্রধানপাড়ায়। তার সাথে কথা হয় আলাপচারিতায় তিনি তার পারিবারিক শিক্ষাজীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের বর্ণনা দেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ মেধাতালিকার থেকে সিজিপিএ ৪.০০ আউট অফ ৪০০ নিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছি। আমি গোবিন্দগঞ্জের সন্তান। গোবিন্দগঞ্জ কে অনেকে চেনাতে বগুড়ার পাশে এটা সেটা বলে পরিচয় করে দেয়। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, বুক ফুলিয়ে গোবিন্দগঞ্জের নাম বলতে আমি জানিনা আমার এই সফলতা গোবিন্দগঞ্জ এর মানুষের কাছে আদৌ কোন মূল্য আছে কিনা। তবে আমি আমার গোবিন্দগঞ্জ কে ডিএেজেন্ট করি। সবার সামনে তুলে ধরি আমি গোবিন্দগঞ্জের সন্তান। আলহামদুলিল্লাহ।
অন্য সবার মত আমার ফোন ছিল না। আব্বু ক্যান্সারে পড় আমার ও আমার ফ্যামিলির উপর দিয়ে যে কি বড় বয়ে গেছে তা আসলে লিখে প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।
এমনো সময় গেছে আমি ক্যান্সার ইউনিটে আব্বুর বেডের নীচে বসে বসে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতাম। সারাদিন এই হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি, আব্বুর টাকা ম্যানেজ করা, আবার ক্লাস করা, কুইজ, প্রজান্টেশন দেয়া সেই সময় টা একটা করে গেছে আমি আসলে ভাবতেই কান্না পায়। তবুও দিন শেষে আমি চেষ্টা করেছি সবার মুখে হাসিফোটানোর সব সময় দাঁতটা বের করে বুঝিয়েছি সবাইকে আমি ভালো আছি। একটা ফাইনাল এক্সামের আগে তো আব্বু-ই মারা গেলো। তবুও দাঁত চেপে আমার এই গ্রাজুয়েশন।
আমার এই জার্নিতে অনেকে আমার সাথে থেকেছেন, অনেক কিছু দিয়ে, অন্তত দোয়া দিয়ে হলেও, আমি তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। আর আমার নানা'র কথা কি বলব। ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত এই মানুষটা আমাকে পেলেপুষে বড় করতেছেন।
বিশেষ ধন্যবাদ, আমার ডিপার্টমেন্ট এর প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ছাড়া এই সফলতা সাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর সকলকে।