১১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সাত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের চিঠি পানননি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের কোনো চিঠি আমি পাইনি। আমার কাছে কোনও চিঠি আসেনি। আজ তো অফিস বন্ধ। আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি। ’
শনিবার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সাত জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেন।
বিএনপির এই আইনপ্রণেতারা জানান, তারা পদত্যাগপত্র সংসদে ইমেইল করে পাঠিয়েছেন। রোববার সংসদে গিয়ে তারা পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সংসদের বিএনপির সংসদ সদস্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ এর মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ এর গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনের আবদুস সাত্তার ভুঞা এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফরহানা। সমাবেশে হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন না।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির ছয়জন বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় দলটি।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, তারা সংসদে যাবে না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপথ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা। চার বছর পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দলটি।
সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কোন সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পীকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।’
২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসন পায়। নানা নাটকীয়তার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকিরা সংসদে যোগ দেন। পরে সংরক্ষিত আসনে সংসদে ঢোকেন রুমিন ফারহানা। আর ফখরুলের আসনে উপনির্বাচনে সংসদে বসেন গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
সংসদ নির্বাচিত নয় দাবি করে ওই সময় বিএনপি বলে আসছিল তারা সংসদে যাবে না। তবে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে ওই সময় মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে কথা বলার সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ ও রাজপথের সংগ্রামকে যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করছি।’