০৩ অগাস্ট, ২০২৪
ছবি: বগুড়া শহরের সাতমাথায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ।
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহসহ অনেক পুলিশ সদস্য বগুড়া জিলা স্কুলে আশ্রয় নেয়।
এর আগে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ৩টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা এই বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় তারা সরকারপ্রধানের পদত্যাগসহ নিহতদের হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে পুরো সাতমাথা এলাকা। এছাড়াও বিক্ষোভ চলাকালে হাজার হাজার অংশগ্রহণকারীদের জন্য পুরো এলাকা অচল হয়ে পড়ে৷
এদিকে, বেলা ৪টার দিকেও বিশাল সেই মিছিলের অর্ধেক অংশ ছিল সাতমাথাতেই। এ সময় জিলা স্কুলের ফটকের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যারা অবস্থান। মিছিলটি জিলা স্কুল অতিক্রম করার সময়
পুলিশকে দেখে ‘ভুয়া ভুয়া' শ্লোগান দেন। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, বোতল ও জুতা নিক্ষেপ পরে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়লে শিক্ষার্থীরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জিলা স্কুলের ভেতরে অবস্থান নেন।
মিছিলের একাংশ সার্কিট হাউজ মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ প্লাজার সামনে পুলিশের সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়েন। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল , সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেট ছুড়ে। পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে জলেশ্বরীতলা, সাতমাথাসহ গোটা শহরে।
ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা জিলা স্কুলে আটকা পড়েছি। তাই এই মুহুর্তে বাইরে কি হচ্ছে আমরা বলতে পারছি না।’
বগুড়া জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে বিনা উসকানিতে পুলিশ প্লাজার সামনে সাঁজায়ো যানে ইট পাটকেল ছোঁড়ে এবং হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।