৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
চাকরি বা ক্যারিয়ার / কৃষি ও প্রযুক্তি

বগুড়ায় মাশরুম চাষে সফল কলেজ শিক্ষার্থী

১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

জোবায়ের আহমেদ,
শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

ছবি: মাশরুম চাষি আব্দুল মমিন।

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার আব্দুল মমিন। পড়াশোনা করেন অনার্স ১ম বর্ষে। প্রায় আড়াই বছর আগে মাশরুম চাষ সম্পর্কে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারেন আব্দুল মমিন। লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অনেকটা শখের বসে গড়ে তোলা মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

মাশরুম চাষের শুরু কিভাবে জানতে চাইলে আব্দুল মমিন  বলেন, বেকারত্ব থেকে মুক্তির প্রত্যয় নিয়ে কয়েক মাস আগে মাগুরার ড্রিম মাশরুম  সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। বর্তমানে আব্দুল মমিনের খামারে ৫০০ টির অধিক মাশরুমের স্পন প্যাকেট রয়েছে, এ থেকে তিনি প্রায় ৪০০-৫০০ কেজির মতো মাশরুম উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নিয়েছেন।

তিনি জানান দুই মাস আগে চাষ শুরু করার প্রায় এক মাস পর থেকে ফলন দেওয়া শুরু হয়।
প্রতি প্যাকেট থেকে এক মাস অনবরত ফলন পাওয়া যায়। তিনি জানান তার খামারে তিন প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১০-১৫ কেজি করে মাশরুম পান। প্রতি কেজি মাশরুম ২৫০-৩০০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি হয়, আর খুচরো ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া ড্রাই বা রোদে শুকিয়ে মাশরুম প্রতি কেজি ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো মাশরুম বিক্রি করেছেন। তিনি দাবি করেন তার এই খামার থেকে প্রতি মাসে মাশরুম চাষের মাধ্যমে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় হবে।

মাশরুমে আছে ২৫-৩৫% প্রোটিন, আছে চর্বি শর্করা। যা রোগ প্রতিরোধ করে। পুষ্টিগুনের পাশাপাশি ঔষধী গুন হলো, আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, মিনারেল। যা শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়া মাশরুম ডায়াবেটিস রোগের মহৌষধ। ঔষধ শিল্পে দামি দামি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মাশরুম।

তিনি জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ পেলে আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে মাশরুম চাষ করবেন, এছাড়া ল্যাব তৈরি করে নিজেই বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করতে চান তিনি। মাশরুম চাষের প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন পড়াশোনার পাশাপাশি বা শিক্ষিত বেকার হয়ে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন।

এছাড়া, তিনি জানান দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন। তাঁদেরকে মাশরুম চাষে সম্পৃক্ত করতে পারলে কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরি হবে। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্যদিকে, দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকুরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে।

Related Article