১৯ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: আটককৃত আসামি
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ওরফে ফারুক আর্মি (৪০) গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত সোয়া ৯ টার সময়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। বগুড়া সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযান চালিয়ে মাটিডালি এলাকার গোধুলী আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করে। তার সাথে একই উপজেলার ভাঙ্গামোড়ের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী বিউটি বেগমকেও (২০) আটক করা হয়েছে। এসময় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে আরো দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন,গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের মুন্সিপাড়ার জামিল উদ্দীন প্রধানের ছেলে জাহিদ হাসান চমক (৩৮),রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের অঞ্জনের পুত্র শ্রী প্রভাত (২৩)। তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানার এস.আই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে দন্ড বিধি আইনের ২৯০ ধারার অপরাধে এমটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা প্রকাশ,বগুড়া শহরের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত মাটিডালী এলাকার গোধুলী আবাসিক হোটেলে কতিপয় পুরুষ ও মহিলা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানতে পারে। এমন সংবাদ পুলিশের কাছে আসলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উল্লেখিত আসামীদের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি নিয়ে ওই চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্থানীয়,আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০ হাজার টাকার চেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পরে রাতের আঁধারে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয় ভুক্তভোগীদের কাছে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি আরো প্রকাশ পেতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত অসামাজিক কার্যকলাপে পুলিশের হাতে আটক হয়ে এলাকার মানুষের ঘৃণায় স্যোসাল মিডিয়ায় ছয়লাভ হয়। বিভিন্ন ব্যক্তির স্যোসাল মিডিয়ায় গতকাল রাত থেকেই ভাইরাল হয়ে যায় চেয়ারম্যান ফারুক আর্মি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান,অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বগুড়া সদর থানা বদ্ধপরিকর। আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত রাতে ১৮ অক্টোবর শহরের মাটিডালী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আসামীদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Good news
Good