১৫ অগাস্ট, ২০২৪
ছবি: পালিয়ে আসা ১৩ বিজিপির সদস্যরা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তা সমর্থিত বাহিনী ও আরাকান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের আরও ১৩ সদস্য।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাতটার দিকে টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন ওই বিজিপি সদস্যরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে নাফনদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত দিয়ে কাঠের নৌকায় চেপে ১৩ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্রসহ বিজিবি সদস্যদের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে নেয়।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বুধবার সকালে সাবরাং সীমান্ত দিয়ে ১৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে একটি পিস্তল ও ২৫ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে। এনিয়ে বর্তমানে ১২৩ জন বিজিপি সদস্য আমাদের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছে। ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশরত বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সীমান্তে দিনরাত টহল জোরদারের পাশাপাশি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে বিজিবি যথেষ্ট সোচ্চার রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
এদিকে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে ইতোমধ্যে আরাকান বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাখাইন রাজ্যের বিশাল এলাকাসহ বিজিপি'র ২০টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে মংডু টাউন ও আশপাশের চারটি গ্রাম মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, নুরুল্লা ও হাস্যুরাতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে বিজিপি সদস্যরা নাফ নদ পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।
এর আগে, দুই বাহিনীর গোলাগুলি ও বোমা হামলায় অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করে। ওই সময় উত্তাল বঙ্গোপসাগারে ঢেউয়ের কবলে পড়ে রোহিঙ্গাবোঝাই তিনটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ জলসীমানায় ১৯ জন নারী, ১৮ জন শিশু ও ৭ জন পুরুষের মরদেহ ভেসে আসলেও আরও অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নিখোঁজ ছিল বলে জানায় উনছিপ্রাং ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।
Good news
Good