১৩ নভেম্বর, ২০২২
নূরুদ্দীন মুহাম্মদ, 
ছবি: মূল হোতা ফরিদ শেখ।
বাগেরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক নূরে আলম ওরফে তানু ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া এলাকায় মূল হোতা ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার ১৩ নভেম্বর দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বাগেরহাটে শহরের বাসাবাটি এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (২৮), জামাল মিস্ত্রীর ছেলে মনির (২৬), আলী আকবরের ছেলে রাতুল শেখ, সোবহানের ছেলে সিরাজুল (২৭), ইসমাইল শেখের ছেলে আলামিন (৩০), রুস্তমের ছেলে সুমন (২৬), বাসাবাটি কাড়াপাড়ার সোহাগ (২৫), পুর্ব বাসাবাটির মোসলেম শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৫৩) ও বাসাবাটির মৃত সোবহান শেখের ছেলে কবির শেখ (৫০)।
তারা সবাই পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া এলাকায় ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) ও থানা পুলিশ যৌথভাবে আসামিদের আটক করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ৯টার দিকে আটককৃতরা বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক নূরে আলম ওরফে তানু ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে স্বীকার করার কথা জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে তানু ভূঁইয়ার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Good news
Good
