০২ মার্চ, ২০২৩
ছবি: প্রতিকী।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক মো. আব্দুল জাব্বার। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কাজী পেশায় বাল্যবিবাহের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তিনি একই থানার সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গেছে, কাজী মো. আব্দুল জাব্বার মহিষালবাড়ীর মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করছেন।
১৯৯৪ সলে তিনি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার অনুপনগর গ্রামের ঠিকানা দেখিয়ে আলাতুলি, চর-অনুপনগর, চর-বাগডাঙ্গা ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানায়, গোদাগাড়ী থানার জাহানাবাদ বেড়াপাড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ দিয়েছেন কাজী জাব্বার। ওই বিয়ের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাজী আব্দুল জাব্বার উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে বলছেন আপনারা অবগত আছেন কণ্যার বয়স হয়নি। এরপর একটি নিকাহনামা ফর্মে ছেলে-মেয়ের ও স্বাক্ষীদের নাম-ঠিকানা লিখে নিজেই বিবাহ পড়াচ্ছেন। কিন্তু বিবাহের রেজিস্ট্রার বহিতে ছেলে-মেয়ে ও স্বাক্ষীদের সহি নিচ্ছেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, 'বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.১০(ক) মোতাবেক এমপিওভুক্ত কোন শিক্ষক কর্মচারী একই সাথে একাধিক কোন পদে/ চাকুরীতে বা অর্থিক লাভজনক কোনও পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। শিক্ষকতার পাশাপাশি কাজী পেশায় যুক্ত থাকার অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
রাজশাহী জেলা রেজিস্ট্রার মো. মতিউর রহমান “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, 'সহকারী কাজীকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো যাবে না। অনেক কাজীরা এধরণের অনিয়ম করছে। বাল্যবিবাহের প্রমান পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাল্যবিবাহের সাথে কোনও কাজীর সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান জেলা রেজিস্ট্রার।'