২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি: ছবি: প্রতিমা তৈরী রংতুলির ছোঁয়া বাকি
জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বীকৃত বাঙালীর বৃহৎ উৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজার বাকী মাত্র দুই সপ্তাহ।
অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ভূমি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী দূর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও ১৬৩টি মন্ডপে পুজার আযোজনের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশী পুজা অনুষ্ঠিত হবে আগৈলঝাড়ায়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলছে প্রতীমা নির্মাণের কাজ। দেবী দূর্গার সাথে কার্তিক, গনেশ, লক্ষিè, সরস্বতী প্রতিমা নির্মাণে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।
আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান এ বছর উপজেলায় মোট ১শ ৬৩টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজার প্রস্তুতি চলছে।
এর মধ্যে রাজিহার ইউনিয়নে ৪৯টি, বাকাল ইউনিয়নে ৪০টি, বাগধা ইউনিয়নে ২৪টি, গৈলা ইউনিয়নে ২৬টি ও রত্নপুর ইউনিয়নে ২৪টি পুজা মন্ডপসহ সর্বমোট ১৬৩টি মন্ডপে প্রতীমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে এখন চলছে দো-মাটির কাজ।
প্রতীমা তৈরীর মৃৎ শিল্পী উপজেলার পাল পাড়ার বাসিন্দা শিব শংকর পাল, সুদেব পাল, জয়দেব পাল, জয়দেব পালের ছেলে সঞ্জয় পালসহ মৃৎ শিল্পীরা জানিয়েছেন, গতবছর গুলোর মতো এ বছরও প্রতিমার আকার আয়তন ঠিক রেখেই প্রতীমা নির্মান করছেন তারা। তবে এবছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দাম বাড়ায় প্রতীমা নির্মাণের খরচ একটু বাড়বে। প্রতীমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে জানিয়ে পুজার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতীমায় রং তুলির কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা।
পঞ্জিকা মতে, ১অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে দেবীর দূর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। এদিন থেকে ৫ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত দশমী বিহিত পুজা বিহীত সমাপনান্তে দেবী বিসর্জণ ও দশহরার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে সম্পন্ন হবে পাঁচ দিন ব্যপি শারদীয় দূর্গা পুজার আচার-অনুষ্ঠান।
থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, দূর্গা পুজা সনাতন ধম্বাবলম্বিদের অন্যতম উৎসব হলেও অ-সাম্প্রদায়িক উপজেলা হিসেবে পরিচিত আগৈলঝাড়ায়য় সবার সম্প্রীতির বন্ধনে পুজা অনুষ্ঠিত হবার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ষষ্ঠী পুজা শুরু থেকে শুরু করে প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত মন্ডপগুলোতে গুরুত্ব বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও পুজা মন্ডপের জন্য নিজস্ব পরিচালনা কমিটি গঠন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা মোবাইল টিমে কাজ করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন পুজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে সরকারীভাবে আলোকসজ্জার উপর বিধি নিষেধ থাকায় পুজার জন্য প্রয়োজন এমন সংখ্যক লাইট জ¦লবে। গেট বা বাড়তি কোন আলোকসজ্জা করা যাবে না। বাড়তি আলোকসজ্জার উপর কঠোর নজরদারি মাধ্যমে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
Good news
Good