১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

আগৈলঝাড়ায় বৈশাখী মেলা উপলক্ষে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততার শেষনেই

১২ এপ্রিল, ২০২৩

জগদীশ মন্ডল,
বরিশাল জেলা (বরিশাল) প্রতিনিধি

ছবি: বৈশাখের মেলা উপলক্ষে ব্যাস্ত সময় পার করছে পাল পাড়ায় গৃহীনি

আগৈলঝাড়ায় বৈশাখী মেলা উপলক্ষে
মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততার শেষনেই
 

আর ১ দিন পরই বাঙালীর প্রানের উৎসব বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ । আর এসব উৎসবের মধ্যে পহেলা বৈশাখ অন্যতম। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের মত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সবখানেই এখন ব্যস্ততা বৈশাখকে ঘিরে। বৈশাখকে বরণ করতে চলছে নানাধরণের প্রস্তুতি। 
 

গ্রামীণ জনপদে বৈশাখ মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন প‚জা অনুষ্ঠিত হয়। আর এ উপলক্ষে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে বৈশাখী মেলা হলো অন্যতম। আর বৈশাখী মেলার ম‚ল আকর্ষণই হচ্ছে মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র। 
 

এ মাটির খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরি করার জন্য গত এক মাস ধরে ব্যস্ত রয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মৃৎশিল্পীরা। বাহারী ও হরেক রকম ডিজাইনের ছোট-বড় খেলনা তৈরি করেছেন মেলায় বিক্রির জন্য। পহেলা বৈশাখ থেকে পুরো মাস চলবে এ ব্যবসা। উপজেলার চাঁদশী, সুজনকাঠির বুড়ির মেলা ও রাজেরবাড়ি মেলাসহ বিভিন্ন স্থানে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে থাকবে বৈশাখী মেলা। 
 

উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের তরণী পাল, মহাদেব, রানী পাল, মায়া পাল জানান, তারা প্রত্যেকেই মেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরি করছেন। 

খেলনার মধ্যে রয়েছে মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, রবি ঠাকুর, কাজী নজরুল, বঙ্গবন্ধু, গণেশ পাগলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি, পুতুল, হাতি, ঘোড়া, বানর, সিংহ, দোয়েল, কচ্ছপ, নৌকা, মাছ, হাঁস, মুরগির ডিম ইত্যাদি। 
ফলের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, তাল ইত্যাদি। 

তারা জানান, আমাদের প‚র্ব পুরুষেরা এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাই আমরাও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টায় আছি। সারাবছরই আমরা মাটির জিনিষ তৈরি করি। 
 

সিরামিক, পাষ্টিক ও ধাতব তৈজসপত্রের জন্য আমাদের শিল্পে অনেকটাই ধ্বস নেমেছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবুও আমরা গুটিকয়েক পাল পরিবার পুরানো পেশা আঁকড়ে আছি। যখন কোন মেলা বসে তখন আমরা মেলার জন্যও খেলনা তৈরি করি। এটা আমাদের উপরি আয়।

 তবে আগের মত মানুষের চাহিদা না থাকায় বিক্রি ভালো হয়না। 
কুমারপাড়ায় চৈত্র মাসেই শুরু হয় মাটির খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরির কাজ। 

বৈশাখ মাস জুড়ে বিভিন্ন মেলায় চলে বিক্রি। এসব মাটির খেলনার দাম ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। 
পালপাড়ার তারক পাল বলেন, আমাদের শ্রমের ন্যায্য ম‚ল্য নেই। 

মানুষের প্রয়োজন মেটাতে আমরা তাদের চাহিদা প‚রণ করে যাচ্ছি। এ পেশা ছেড়ে অনেকেই ভিন্ন পেশায় নেমেছে। আমরা কয়েকটি পরিবার এখনও এ পেশা ছাড়তে পারিনি। এবার বিভিন্ন স্থানে মেলা বসার খবর পেয়ে খুব ভালো লাগলো। কারন এবার যদি কিছু বেঁচা কেনা হয়। 
 

জয়দেব পাল জানান, আমাদের এ এলাকায় আগে আরও অনেক পরিবার ছিল যারা এ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু এখন আর কেউ এ পেশায় থাকতে চায় না। এতে কষ্ট অনেক বেশি কিন্তু লাভ কম। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার আজও আমরা এ পেশা ধরে রেখেছি।
 

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই উপজেলার পাল সম্প্রদায়ের বেশ কিছু পরিবার এখনও মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে। মৃৎশিল্প আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। 

সরকার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তাই তারা যে কোন সহযোগিতা চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good