০২ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: রাজধানীর পল্টনে কালভার্ট রোডে সমাবেশে উপস্থিত জনস্রোতের একাংশ।
বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের উপর হামলা, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলায় গ্রেফতার,গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং চাল,ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আজ শুক্রবার রাজধানীর পল্টনের কালভার্ট রোডে গণ অধিকারের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে সমাবেশ। উক্ত সমাবেশে অংশ গ্রহন করে ঢাকা সিটি উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লক্ষ্যাধিক নেতা এবং কর্মীবৃন্ধ। সমাবেশে উপস্থিতিদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে ছাত্র অধিকার, যুব অধিকার,শ্রমিক অধিকার, আইনজীবি অধিকার এবং পেশাজীবি অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা সরকারের করা সমালোচনা করে বলেন দ্রব্য মূল্যের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার উর্ধে থাকার কারনে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের পেটে এখন আগুন জ্বলছে। এই জন্য এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
দিন তারিখ ঠিক করে সরকারে এই সৃষ্ট পরিস্থিতির জবাব দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের মহা সচিব, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন যেখানে বাঁধা সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বক্তব্যে গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া নিরীহ আলেম উলামা সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন। সবাইকে একসাথে হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে সমুচিত জবার দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলার স্বীকার হওয়ার আশঙ্কা থাকায় পরে কালভার্ট রোডে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা এবং কর্মীর উপস্তিতিতে সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে বলে পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আমাদেরকে জানিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি সমূহঃ-
১. বিদ্যুৎ, গ্যাস, ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং তদারকির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা।
২. বিদ্যুৎ, জ্বালানি শেয়ারবাজার সহ আর্থিক খাতের লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত ট্রাইব্যালনের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা।
৩. রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে বাধা, হামলা, গুলি করে হত্যা করা, মিথ্যা মামলার গ্রেফতার, হয়রানি বন্ধ করে গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার কারা
৪. রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ ও জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।
৫. রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের হয়রানিমূলক ব্যবস্থা বাতিল করে গনঅধিকার পরিষদসহ ইসিতে আবেদনকারী দলসমূহকে নিবন্ধন প্রদান।