২৭ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: প্রতিকী ছবি
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “পুরুষের কাপড় পায়ের টাখনুর উপর পড়তে হবে। অন্যথায় তারা জাহান্নামে যাবে।”
– (সহীহ বুখারী ৫৩৭১)
বর্তমানে বিজ্ঞান বলছে পুরুষের টাখনুর ভিতর প্রচুর পরিমানে হরমোন থাকে এবং তার পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। তাই কেউ যদি তা খোলা না রেখে ঢেকে রাখে, তাহলে তার যৌনশক্তি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “ভ্রু প্লাগকারীর উপর আল্লাহর লানত”
– (সহীহ বুখারী ৫৫১৫)
বিজ্ঞান বলছে , ভ্রু চোখকে সুরক্ষা রাখে। ভ্রুতে এমন কিছু লোম থাকে যদি তা কাটা পড়ে যায় তাহলে ভ্রুপ্লাগকারী পাগল হতে পারে, অথবা মৃত্যুও হতে পারে।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া হারাম”
– (সহীহ বুখারী ৬১২৪)
বিজ্ঞান বলছে, ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে , ব্রংকাইটিস ও হৃদরোগ হয়ে থাকে। ধুমপান করলে ঠোট, দাতের মাড়ি, আঙ্গুল কালো হয়ে যায়। যৌনশক্তি ও ক্ষুধা কমে যাওয়াসহ স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।”
– (মুসলিম ১৬৫৫)
বিজ্ঞান প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে , স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ যা স্কিনের সাথে মিশে ব্লাডের মাধ্যমে ব্রেনে চলে যায়। আর তার পরিমান যদি ২.৩ হয় তাহলে মানুষ তার আগের স্মৃতি সব হারিয়ে ফেলে শেষ পরিনাম খুবই ভয়ংকর হয় যেটা ১/২ দিনে বুঝা যাবেনা।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ঘুমানোর সময় রাতের বেলায় আলো নিভিয়ে এবং ডান কাত হয়ে ঘুমাতে হবে।
– (সহীহ বুখারী ৩২৮০)
বিজ্ঞান বলেছে ডান কাত হয়ে ঘুমালে হার্ট ভালো পাম্প করে এবং হার্টের ক্ষতি কম হয়। আর রাতের বেলায় লাইট না নিভিয়ে ঘুমালে ব্রেনের এনাটমি রস শরীরে প্রবেশ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয় যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার খুব সম্ভবনা থেকে যায়।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা গোফ ছেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর”
– (সহীহ মুসলিম ৪৯৩ ও ৪৯৪)
বিজ্ঞান প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে , দাড়ি না রাখলে স্ক্রিন ক্যান্সার, ফুসফুসের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং বয়স ৪০ এর আগে যৌবন হারিয়ে যেতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং ধ্বংসের পথ।”
– (বনি ইসরাঈল ৩২) নেশাগ্রস্থ শয়তানের কাজ (মায়িদাহ ৯০)
বিজ্ঞান বলছে , পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল সম্পর্ক সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নেশায় যদি কেউ জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার ব্রেনের ফরেন্টাল এরিয়া পরিচালনা করার ইন্টেলেচুয়াল সেলগুলো থরথর করে কাপতে থাকে এবং অস্থির হয়ে যায়। যার ফলে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে মাতাল ও অসুস্থের মত চলাফেরা করে এবং তা তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেেছেন, “আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।”
– (আরাফ ২০৪)
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে , কুরআনের সাউন্ড ওয়েব শরীরের সেলগুলোকে সক্রিয় করে, অসুস্থতাকে সুস্থ করে বিশেষ করে হার্ট এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য বেশি কার্যকর। ব্রেনকে এমনভাবে চার্জ করে, ঠিক যেমন ভাবে ফিউজ হওয়া ব্যাটারীকে সচল করে।
সংকলক- কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
ধন্যবাদ 🌸💚
Good news